গাইবান্ধা সদর উপজেলায় সুমনা আকতার (২৮) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার এই মৃত্যুকে ঘিরে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন। এটি হত্যা নাকি আত্নহত্যা, তা নিয়ে চলছে আলোচনার ঝড়।
রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার খোলাহাটী ইউনিয়নের চকমামরোজপুর গ্রামের নিজ ঘর থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সুমনা আকতার ওই গ্রামের আনছার আলীর ছেলে সোহেল রানার (৪০) স্ত্রী এবং রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের বড় দুর্গাপুর গ্রামের আব্দুর রহিম মৃধার মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে ৩টি চকলেট নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য ঘটে। এরপর রবিবার সকালে তার ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় শাড়ি প্যাঁচানো ঝুলন্ত মরদেহ দেখা যায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।তবে মৃত সুমনা আকতারের দুটিপা মেঝেতে দাড়ানো অবস্হায় ছিল এবং স্বামী সোহেল রানা গা ঘাকা দেয়ায় মৃত রহস্য টক অব দ্যা টাউনে পরিনত হয়েছে।
এদিকে, সুমনার বাবার বাড়ির লোকজনের দাবি, বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য নানাভাবে নির্যাতন করে চলছিল স্বামী সোহেল রানা। এ নিয়ে তাকে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে স্বামী সোহেলা রানার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি এবং তার পরিবারের লোকজন মুখ খুরতে নারাজ।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আব্দুর রউফ জানান, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।