ধর্ষণের ঘটনায় নববধূর বাবা শুক্রবার রাতে ধুনট থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। শনিবার সকালে পুলিশ প্রধান আসামি আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করেছে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা জানান, আদালতে ভিকটিমের ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড ও বগুড়া শহিদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। পরে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, ২৩ মার্চ ওই মেয়েটির ফরিদুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে হয়। ওইদিন রাতে স্বামী ফরিদুলের সহযোগিতায় আলমগীর হোসেন শরবতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে নববধূকে পান করান। নববধূ ঘুমিয়ে পড়লে ফরিদুলের সহযোগিতায় আলমগীর নববধূকে সকাল পর্যন্ত কয়েকবার ধর্ষণ করেন। পরদিন ২৪ মার্চ সকালে নববধূ ঘুম থেকে জেগে দেখেন আলমগীর তাকে জড়িয়ে ঘুমিয়ে আছেন। আর স্বামী ফরিদুল অন্য বিছানায় ঘুমিয়ে। ধর্ষণের শিকার নববধূ ঘটনাটি স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে জানালে তারা বিশ্বাস করেননি; উলটো তাকে মারধর করেন। আলমগীর হোসেন ২৫ মার্চ রাতেও নববধূকে একই কায়দায় ধর্ষণের উদ্যোগ নেন। নববধূ টের পেয়ে বিষয়টি মোবাইল ফোনে তার বাবাকে জানান। তৎক্ষণাৎ বাবা পাশের গ্রাম থেকে জামাই বাড়িতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। নববধূর বাবা শুক্রবার রাতে ধুনট থানায় জামাইয়ের ভগ্নিপতি আলমগীর হোসেন, জামাই ফরিদুল ইসলাম ও ফরিদুলের বাবা-মাকে আসামি করে মামলা করেন।
ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা জানান, শনিবার সকালে অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি ফরিদুলের ভগ্নিপতি আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।