বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩, ০১:২৯ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :

জেলা/উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ : সাপ্তাহিক গাইবান্ধার বুকে পত্রিকার জন্য গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা, থানা, বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান/এলাকায় প্রনিতিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও পাসপোর্ট সাইজের এক কপি ছবিসহ সরাসরি অথবা ডাকযোগে সম্পাদক বরাবর আবেদন করুন।প্রকাশক ও সম্পাদক, সাপ্তাহিক গাইবান্ধার বুকে , গোডাউন রোড, কাঠপট্টী, গাইবান্ধা। ফোন: : ০১৭১৫-৪৬৪৭৪৪, ০১৭১৩-৫৪৮৮৯৮

উপ-সহকারী প্রকৌশলী রতনের বিশাল অট্টালিকা ও অবৈধ সম্পদের মালিক!

স্টাফ রিপোর্টার / ৬৮২ বার পঠিত
প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৬:৫৯ অপরাহ্ন

গাইবান্ধা গণপূর্ত বিভাগে ২০০৪ সালে ড্রাফটম্যান পদে যোগদান করেন গাউছে আজম রতন। এরপর জালিয়াতি করে ২০১৭ সালে পদোন্নতি নিয়ে উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) পদে চাকরিতে স্থায়ী হন। ড্রাফটম্যান থাকা অবস্থায় তিনি গাইবান্ধা শহরের বারিধারায় বিশাল অট্টালিকাসম চারতলা ভবনের বাড়ি নির্মাণ করেন। পদোন্নতি পাওয়ার পর তিনি আরও বিপুল সম্পদের মালিক হন। গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সংস্থাপন) বরাবরে লিখিত অভিযোগে এসব তথ্য জানা গেছে।

লিখিত অভিযোগ পত্রের সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধা গণপূর্ত বিভাগে ড্রাফটম্যান পদে যোগদান করার পর গাউছে আজম রতন যে সব উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর অধীনে কাজ করেছেন, তাদের কারো কাছ থেকে তিনি বার্ষিক গোপন প্রতিবেদন নেননি। বিভিন্ন সময়ে কর্মরত উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুছ ছালাম মিয়া, হুসাইন মো. সাফি মন্ডল, মো. মাজিদার রহমান, মো. এনামুল হকের স্বাক্ষর জাল করে গাউছে আজম রতন নিজেই বার্ষিক গোপন প্রতিবেদন তৈরি করে গণপূর্ত অধিদপ্তরে জমা দেন। পরে তিনি উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) পদে পদোন্নতি পান।

বর্তমানে তিনি গাইবান্ধা গণপূর্ত বিভাগেই কর্মরত আছেন। একই কর্মস্থলে সুদীর্ঘ ১৮ বছর চাকরি করছেন। ফলে তিনি একটি সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন। এ সিন্ডিকেটের প্রভাব খাটিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে যোগসাজসে এপিপির কাজের প্রায় সবগুলোই গাউছে আজম রতন তার আওতাধীন শাখা-১ এর আওতায় নিয়ে ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন। এমনকি চলতি বছর শাখা-৩ হতে সদর হাসপাতাল, সিভিল সার্জনের অফিস ও সদর হাসপাতালে আগত নতুন দুটি কাজ- এক কোটি টাকা প্রাক্কলিত মূল্যের পিসিআর ল্যাব এবং পাঁচ কোটি টাকা প্রাক্কলিত মূল্যের সার্ভিস বিল্ডিং এর কাজগুলো বাগিয়ে নেন। অথচ কাজগুলো ছিল সরাসরি পিএসসি থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত একজন উপ-সহকারী প্রকৌশলীর। গাইবান্ধা গণপূর্ত বিভাগে সরাসরি পিএসসি থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলীও রয়েছেন। কিন্তু ড্রাফটম্যান থেকে পদোন্নতি পাওয়া গাউছে আজম রতন সিন্ডিকেটের ক্ষমতা ও প্রভাবে কাজগুলো বাগিয়ে নিয়েছেন। অবৈধ উপায়ে উপার্জিত অর্থে তিনি শহরের আদর্শ পাড়ায় পাঁচতলা ভবনের বিশাল বাড়ি নির্মাণ ও মুন্সিপাড়ায় জমিসহ সেমিপাকা বাড়ি ক্রয় করেছেন। এছাড়াও নামে-বেনামে তিনি অনেক সম্পদের মালিক। তার বিরুদ্ধে মাদক সেবনের অভিযোগও রয়েছে।

বাংলাদেশ গণপূর্ত অধিদপ্তর শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন, জেলা কমিটি গাউছে আজম রতনের বিরুদ্ধে নিজ অফিস কক্ষে বহিরাগত লোক নিয়ে মাদক সেবনের বিষয়ে গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর প্রধান প্রকৌশলীর বরাবরে অভিযোগ করেছিল। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে নির্বাহী প্রকৌশলী উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে সুপারিশও করেছিলেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ঠিকাদার বলেন, গাউছে আজম রতনের দাপটে গোটা গণপূর্ত বিভাগ তটস্থ। খোদ নির্বাহী প্রকৌশলীও তাকে সমঝে চলে। দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে তিনি একই কর্মস্থলে রয়েছেন। তার দুর্নীতির বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে গাউছে আজম রতন বলেন, এসব অভিযোগ ঠিক নয়, সবই তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সব খবর...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর