বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩, ০১:০৭ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :

জেলা/উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ : সাপ্তাহিক গাইবান্ধার বুকে পত্রিকার জন্য গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা, থানা, বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান/এলাকায় প্রনিতিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও পাসপোর্ট সাইজের এক কপি ছবিসহ সরাসরি অথবা ডাকযোগে সম্পাদক বরাবর আবেদন করুন।প্রকাশক ও সম্পাদক, সাপ্তাহিক গাইবান্ধার বুকে , গোডাউন রোড, কাঠপট্টী, গাইবান্ধা। ফোন: : ০১৭১৫-৪৬৪৭৪৪, ০১৭১৩-৫৪৮৮৯৮

অবকাঠামো নির্মাণে মাটি দিয়ে ব্রিজের মুখ ভরাট দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতার আশংকা

স্টাফ রিপোর্টার / ৮৫ বার পঠিত
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২৩, ৬:০৯ অপরাহ্ন

পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে অবকাঠামো নির্মাণের জন্য গাইবান্ধা পৌরসভার কলেজ রোডে সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি ব্রিজ (কালভার্ট) এর মুখ মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। এরফলে পৌরসভার ৫টি এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে জনদুর্ভোগ বৃদ্ধি পাবে। এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে ওইসব এলাকার বাসিন্দা।
এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন উপেক্ষা করে গাইবান্ধা শহরের অন্যতম ব্যসত্মতম কলেজ রোডের প্রফেসর কলোনী সংলগ্ন এলাকায় ব্রিজের মুখ মাটি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। ব্রিজের মুখ ভরাট করে অবকাঠামো নির্মাণ করা হলে সদর হাসপাতালসহ পলাশপাড়া, গাড়িয়াল পট্টি, ফকিরপাড়া, বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে এসব এলাকা পানিতে তলিয়ে যাবে। ফলে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্থানীয় জনগণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে।
জানা গেছে, পৌরসভা আইন ২০০৯ ও মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনা উপেক্ষা করে উল্লেখিত স্থানে ব্রিজের মুখ ভরাট করছেন তৌহিদ জামান মিতা। আইন অনুযায়ী কেউ জলাধার ও পানি নিষ্কাশনের রাস্তা বন্ধ করতে পারেন না। অথচ সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ব্রিজের মুখ বন্ধ করা হয়েছে। এর আগেও ওই ব্রিজের মুখ মাটি দিয়ে ভরাট করার চেষ্টার বিরুদ্ধে গাইবান্ধা পৌরসভা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল।
এ ঘটনায় গাইবান্ধা পৌরসভার মেয়র মো. মতলুবর রহমান ক্ষুব্ধতা প্রকাশ করে বলেন, জনস্বার্থ ও পরিবেশ আইন উপেক্ষা করে কলেজ রোডের ওই ব্রিজের মুখ ভরাট করতে রাতের আঁধারে মাটি ফেলা হয়েছে। এর আগেও এই অপচেষ্টা করা হয়েছিল। সেসময় প্রশাসনকে অবগত করে পৌরসভার পক্ষ থেকে মাটি অপসারণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বৃহত্তর জনস্বার্থের কথা বিবেচনা করে বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। এব্যাপারে পৌরসভা অবিলম্বে পৌরসভা আইন ২০০৯ এর ১১৭ ধারা এর বিধান এবং জলাধার আইন ও মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে তৌহিদ জামান মিতার স্বামী ইব্রাহীম আকন্দ সেলিম বলেন, আগামী ৩/৪ দিনের মধ্যে মাটি সরিয়ে ফেলা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সব খবর...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর