বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩, ০১:৩০ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :

জেলা/উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ : সাপ্তাহিক গাইবান্ধার বুকে পত্রিকার জন্য গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা, থানা, বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান/এলাকায় প্রনিতিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও পাসপোর্ট সাইজের এক কপি ছবিসহ সরাসরি অথবা ডাকযোগে সম্পাদক বরাবর আবেদন করুন।প্রকাশক ও সম্পাদক, সাপ্তাহিক গাইবান্ধার বুকে , গোডাউন রোড, কাঠপট্টী, গাইবান্ধা। ফোন: : ০১৭১৫-৪৬৪৭৪৪, ০১৭১৩-৫৪৮৮৯৮

নদীবন্দি দেড়শ পরিবার, নেই রাস্তা-ব্রিজ

স্টাফ রিপোর্টার / ৪৫ বার পঠিত
প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ৩:১২ অপরাহ্ন

নদীবিধৌত গ্রাম মহিবান্দী। আঁকাবাঁকা নদীর তীরে ‘দ্বীপ’ হিসেবে পরিচিত ‘মহিষবান্দী পুর্বপাড়া’। এখানে প্রায় দেড়শ পরিবারের বসবাস। ভাঙনের থাবায় বাড়িগুলোর চারপাশে বয়ে গেছে নদী। যার ফলে নদীবন্দি হয়ে পড়েছে মানুষ। তাদের চলাচলের নেই কোনো রাস্তা। পারাপারের জন্য আছে একটি নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো। ঝুঁকিপূর্ণ এই সাঁকো আর অন্যের কৃষি জমির আইল দিয়ে চলাফেরা করতে হয় তাদের। এতে নানা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে তারা।
সরেজমিনে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের মহিষবান্দী পুর্বপাড়ায় (দ্বীপ) এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মানুষের সীমাহীন ভোগান্তির চিত্র। এই স্থানের ঘাঘটের ওপর ভাঙা বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছে শিশু-শিক্ষার্থীসহ নানা বয়সের মানুষ। ওপারে পৌঁছে নেই কোনো রাস্তা। বাধ্য হয়ে কৃষকের জমির আইল দিয়ে হেঁটে উঠতে হয় মূল সড়কে।
স্থানীয়রা যানান, ওই স্থানে কয়েক যুগ ধরে শতাধিক পরিবার বসবাস করে আসছেন। এখানকার সবগুলো পরিবার দরিদ্র সীমার নিচে জীবনযাপন করছেন। তাদের অন্যের জমির আইল (ঘাটা) দিয়ে প্রায় ৬০০ মিটার হেঁটে প্রধান সড়কে পৌঁছাতে হয়। তৎকালীন বাড়িগুলোর তিন পাশে নদী থাকলেও উত্তর পাশে ছিল না কোনো নদী। এরই মধ্যে বছর দুয়েক আগে অব্যাহত ভাঙনে এখন বসতভিটার চারপাশে বয়ে গেছে নদীটি। একপর্যায়ে দক্ষিণ পাশে বিশাল খালে পরিণত হয়েছে। যার কারণে নদীবন্দি হয়ে পড়েছে দ্বীপের মানুষেরা। সময়ের ব্যবধানে সমাজ উন্নয়ন তথা দেশের পরিবর্তন ঘটলেও আজও উন্নয়নে পরিবর্তন হয়নি এই দ্বীপের করুণ অবস্থা। জনপ্রতিনিধিদেরও নজরে আসেনি ওই স্থানে রাস্তা ও ব্রিজ নির্মাণে।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বর্ষা মৌসুম এলেই নদীর পানি কানায় কানায় ভরে গেলে বেড়ে যায় আরও দুর্গতি। এছাড়াও হঠাৎ কোনো রোগী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার জীবন নির্ভর করে সময়ের উপর। একটু দেরি হলেই রোগীর জীবন অসহ্য যন্ত্রণাসহ ওখানেই মৃত্যুর প্রহর গুণতে হয়। এছাড়া শিক্ষার আলো থেকে ঝড়ে পড়ছে তাদের সন্তানেরা। এমনভাবে রাস্তা-ব্রিজের অভাবে কয়েক বছর ধরে লেগে আছে মানুষের চরম ভোগান্তি। বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি এই স্থানে রাস্তা নির্মাণসহ খালের ওপরে ব্রিজ নির্মাণ হওয়া অত্যন্ত জরুরি। এটি বাস্তবায়ন হলে মানুষ নির্বিঘ্নে যাতায়াত করাসহ শিক্ষিত হতে পারবে সন্তানেরা।স্থানীয় জামিরুল ইসলাম ও ফুল মিয়া বলেন, প্রতিদিন প্রয়োজনীয় কাজে নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে হয়। এতে করে সময় নষ্টসহ ঝুঁকিতে থাকতে হয় জীবনের ভয়ে। এখানে একটি রাস্তা ও ব্রিজ নির্মাণের জন্য দাবি করছি।
হাফিজার রহমান নামের আরেক বাসিন্দা বলেন, আমি পেশায় ভ্যানচালক। আমাদের বাড়িতে ঢোকার রাস্তা ও ব্রিজ না থাকায় ভ্যানটি অন্যের বাড়িতে রাখতে হয়। রাতের বেলায় সেখান থেকে কৃষকের মাঠ হেঁটে বাড়িতে ঢুকতে হয়। সেই সঙ্গে রাস্তা ও ব্রিজ না থাকায় আমাদের ছেলে-মেয়েদের বিয়ে করাতে কঠিন বেগ পেতে হচ্ছে।
ছামিউল ইসলাম (১১) নামের এক শিক্ষার্থী বলে, স্কুলে যেতে ভাঙা সাঁকো পার হতে খুব ভয় লাগে। এজন্য স্কুলে যাওয়ার ইচ্ছে করে না।
এ বিষয়ে রসুলপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্যার স্বামী আমিনুল ইসলাম জানান, মহিষবান্দী পুর্বপাড়া গ্রামের মানুষদের দুর্ভোগের অন্ত নেই। এখানে রাস্তা ও ব্রিজ নির্মাণ অত্যান্ত জরুরি। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিদের কাছে লিখিত আবেদন করা হবে।
সাদুল্লাপুর উপজেলা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাহারিয়া খান বিপ্লব বলেন, ওই স্থানে এমন সমস্যা দাঁড়িয়েছে সেটি জানা নেই। খতিয়ে দেখা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সব খবর...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর